এসির মধ্যে থাকার স্বাস্থ্যঝুঁকি

শহুরে জীবনযাপনে অনেকেই এয়ারকন্ডিশনারের (এসি) ওপর ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। অফিসে ৮-৯ ঘণ্টা টানা সেন্ট্রাল এসির মধ্যে থাকতে হয়। তাই বাড়িতে ফিরে ফ্যানের বাতাস যেন গায়েই লাগতে চায় না। এ কারণে অনেকেই ঘরেও এসি লাগান। এভাবে এসির প্রতি অতিনির্ভরশীলতা বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি ডেকে আনছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা: দিনের বেশিরভাগ সময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকলে শ্বাসতন্ত্রের  বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কারণ এয়ারকন্ডিশনার শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিতে পারে।

অবসাদ: এক গবেষণায় দেখা গেছে, যে সব মানুষ দিনের বেশিরভাগ সময় শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকেন, তারা মাথা ব্যথা ও অবসাদে বেশি ভোগেন। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘর আপনার ঠাণ্ডার সমস্যা ও ফ্লু’র প্রকোপ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে।

ত্বকের শুষ্কতা: বেশি সময় এসির মধ্যে থাকলে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে ত্বক আর্দ্র করার কোনো ব্যবস্থা না নিলে শুষ্ক ত্বক বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।

চোখের সমস্যা: এসি চোখের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন: কনজাংটিভাইটিস। এছাড়া চোখে লেন্স ব্যবহারকারীরাও সমস্যায় ভুগতে পারেন।

রোগের প্রকোপ: এসি বেশকিছু রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন: ব্লাড প্রেসার, আর্থাইটিস, বিভিন্ন ধরণের স্নায়ুর সমস্যা। এছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময় এসির মধ্যে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্নক আকার ধারণ করতে পারে।

এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়: এয়ারকন্ডিশনার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখুন। তাপমাত্রা যেন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর শীতকালে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার না করাই ভালো।

ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে লোশন ও ক্রিম ব্যবহার করুন। মাঝে মাঝে মুখ, হাত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে চাদর ব্যবহার করুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment